অ্যাজমা হলে করণীয় কী?

Spread the love

অ্যাজমা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। অ্যাজমা একটি দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যা সঠিক যত্ন না নিলে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। আজকে আমরা অ্যাজমা হলে করণীয় কী এই বিষয়ে জানবো। 

সাধারণত শ্বাসনালীর প্রদাহ এবং সংকোচনের ফলে অ্যাজমার উপসর্গ দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং বুকে চাপ অনুভব করা অ্যাজমার সাধারণ লক্ষণ। ইনহেলার এবং নির্দিষ্ট ওষুধ এই অবস্থার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া, ধুলাবালি, ধোঁয়া এবং অ্যালার্জেন থেকে দূরে থাকা জরুরি।

নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন অ্যাজমা রোগীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে পারে।

Contents hide

 

অ্যাজমার লক্ষণ

 

অ্যাজমা একটি সাধারণ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। এর ফলে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়। অ্যাজমার লক্ষণগুলো তীব্র বা মৃদু হতে পারে। নিচে অ্যাজমার প্রধান লক্ষণগুলো উল্লেখ করা হলো:

 

শ্বাসকষ্ট

শ্বাসকষ্ট অ্যাজমার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। আক্রান্তরা শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভব করেন। শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসনালিতে বাঁধা পড়ার অনুভূতি হয়।

 

হাঁপানি

হাঁপানি হলো অ্যাজমার আরেকটি লক্ষণ। হাঁপানি হলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বুকের ভিতর থেকে শো শো শব্দ আসে।

 

বুকের চাপ

অ্যাজমার কারণে বুকের চাপ অনুভূত হতে পারে। বুকের মাঝখানে শক্ত অনুভূতি হয়। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

লক্ষণবর্ণনা
শ্বাসকষ্টশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, শ্বাসনালিতে বাঁধা পড়ার অনুভূতি।
হাঁপানিশ্বাস নিতে কষ্ট, বুকের ভিতর থেকে শো শো শব্দ।
বুকের চাপবুকের মাঝখানে শক্ত অনুভূতি, শ্বাস নিতে কষ্ট।

 

অ্যাজমার লক্ষণগুলো জানা থাকলে সহজে সনাক্ত করা যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে অনেকটাই উপশম হয়।

 

অ্যাজমার কারণসমূহ

 

অ্যাজমা একটি সাধারণ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ যা অনেক কারণের জন্য হতে পারে। এই কারণগুলোকে জানলে আমরা অ্যাজমা প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে সহায়তা পেতে পারি। নিচে অ্যাজমার প্রধান কারণসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

 

অ্যালার্জি

অ্যালার্জি অ্যাজমার একটি প্রধান কারণ। বিভিন্ন অ্যালার্জেন যেমন ধুলো, ফুলের রেণু, পশুর লোম, এবং ছত্রাকের স্পোরস অ্যাজমার আক্রমণ বাড়াতে পারে। অ্যালার্জি থাকার ফলে শ্বাসনালী সঙ্কুচিত হয় এবং শ্বাসকষ্ট হয়।

 

পরিবেশগত ফ্যাক্টর

পরিবেশের দূষণ অ্যাজমার অন্যতম কারণ। গাড়ির ধোঁয়া, কারখানার বর্জ্য এবং সিগারেটের ধোঁয়া শ্বাসনালীর ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও ঠান্ডা বা শুষ্ক আবহাওয়া, আর্দ্রতা এবং বায়ু দূষণ অ্যাজমার আক্রমণ বাড়ায়।

 

জেনেটিক প্রভাব

জেনেটিক প্রভাবও অ্যাজমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবারের কেউ অ্যাজমা থাকলে অন্য সদস্যদেরও অ্যাজমা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিভিন্ন জিনগত উপাদান শ্বাসনালীর স্থায়িত্বকে প্রভাবিত করে এবং অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়।

এই কারণসমূহ জানলে এবং সতর্ক থাকলে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

 

অ্যাজমার প্রাথমিক চিকিৎসা

 

অ্যাজমা একটি সাধারণ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যা অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে। প্রাথমিক চিকিৎসা অ্যাজমা রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নীচে অ্যাজমার প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।

 

ইনহেলার ব্যবহার

ইনহেলার অ্যাজমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা। এটি শ্বাসনালীকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ইনহেলার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। ইনহেলার ব্যবহারের সময় নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  • ইনহেলার ঝাঁকান
  • মুখে ইনহেলার রাখুন
  • শ্বাস নিন এবং ইনহেলার চাপ দিন
  • শ্বাস ধরে রাখুন ১০ সেকেন্ড

 

অ্যান্টিহিস্টামিন

অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি হাইস্টামিন নামক পদার্থের কার্যকারিতা রোধ করে। হাইস্টামিন শ্বাসনালী সংকুচিত করতে পারে। কিছু সাধারণ অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ হলো:

  • লোরাটাডিন
  • সেটিরিজিন
  • ফেক্সোফেনাডিন

 

বাষ্প নেওয়া

বাষ্প নেওয়া শ্বাসনালীকে শিথিল করতে পারে। এটি শ্বাসনালীতে জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। বাষ্প নেওয়ার জন্য নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:

  1. একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিন
  2. মাথার ওপর একটি তোয়ালে রাখুন
  3. গরম পানির বাষ্প শ্বাস নিন
  4. ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন

এই ধাপগুলি অনুসরণ করলে অ্যাজমার প্রাথমিক চিকিৎসা সঠিকভাবে করা সম্ভব।

 

অ্যাজমার জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয়

 

অ্যাজমা আক্রান্ত ব্যক্তিরা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নিলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। আসুন জেনে নিই জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় কী কী।

 

ডাক্তারের পরামর্শ

অ্যাজমা আক্রান্ত হলে প্রথমেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করবেন।

ডাক্তার আপনার শ্বাসনালীর পরীক্ষা করবেন। এরপর তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন।

 

হাসপাতালে ভর্তি

অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়।

হাসপাতালে অক্সিজেন এবং নেবুলাইজার দেওয়া হয়। এতে শ্বাসকষ্ট কমে।

 

ইমার্জেন্সি মেডিসিন

ইমার্জেন্সি মেডিসিন দ্রুত কাজ করে। এগুলো সাধারণত ইনহেলারের মাধ্যমে দেওয়া হয়।

করণীয়কারণ
ডাক্তারের পরামর্শসঠিক চিকিৎসা শুরু হয়
হাসপাতালে ভর্তিদ্রুত অক্সিজেন এবং চিকিৎসা পাওয়া যায়
ইমার্জেন্সি মেডিসিনশ্বাসকষ্ট দ্রুত কমে

 

দৈনন্দিন জীবনযাপন

 

অ্যাজমা হলে দৈনন্দিন জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। সঠিক যত্ন নিলে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললে শ্বাসকষ্ট কমানো যায়। এখানে দৈনন্দিন জীবনযাপনে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখার কয়েকটি কৌশল তুলে ধরা হলো।

 

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা জরুরি। ধুলাবালির সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। ঘরের মধ্যে নিয়মিত ঝাড়ু এবং পোঁছা দিন। বিছানা, বালিশ এবং কাঁথা নিয়মিত ধুয়ে নিন।

কাজসময়
ঝাড়ু দেওয়াপ্রতিদিন
বিছানা ধোয়াপ্রতি সপ্তাহে

 

পর্যাপ্ত বিশ্রাম

শরীরকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের সময় বিছানা আরামদায়ক রাখুন। ঘুমানোর আগে মোবাইল এবং টিভি থেকে দূরে থাকুন।

  • নিয়মিত ঘুম
  • আলোকিত ঘর
  • আরামদায়ক বিছানা

 

নিয়মিত ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম করলে শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়ে। হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম উপকারী। অতিরিক্ত কষ্টকর ব্যায়াম এড়ানো উচিত। ব্যায়াম করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

  1. হালকা হাঁটা
  2. যোগব্যায়াম
  3. ডাক্তারের পরামর্শ

 

খাদ্যাভ্যাস

 

অ্যাজমা রোগীদের খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস অ্যাজমার উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। এছাড়া পর্যাপ্ত জল পান করাও অপরিহার্য।

 

পুষ্টিকর খাবার

অ্যাজমা রোগীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিকর খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  • সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকোলি এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি খাওয়া উচিত।
  • ফলমূল: আপেল, কমলালেবু এবং অন্যান্য তাজা ফল খাওয়া ভালো।
  • প্রোটিন: মুরগির মাংস, মাছ এবং ডাল থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়।

 

অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলা

কিছু খাবার অ্যাজমার উপসর্গ বাড়াতে পারে। তাই এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

খাবারবিষয়
দুধ এবং দুধজাত পণ্যঅনেকের জন্য অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী।
ডিমকিছু মানুষের জন্য সমস্যা হতে পারে।
শেলফিশঅনেকের জন্য অ্যালার্জির কারণ।

 

জল খাওয়া

অ্যাজমা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। জল শরীরের টক্সিন দূর করে এবং শ্বাস প্রশ্বাসে সাহায্য করে।

  1. প্রতিদিন ৮ গ্লাস জল পান করা উচিত।
  2. গরম জল পান করলে শ্বাসের সমস্যা কমে।
  3. ফলমূলের রস পান করতে পারেন, তাতে জল ও পুষ্টি দুটোই পাওয়া যায়।

 

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ

 

অ্যাজমা একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। এটি নিয়ন্ত্রণে ওষুধের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ওষুধ ব্যবহার করলে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিচে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিয়ে আলোচনা করা হল।

 

ব্রঙ্কোডাইলেটর

ব্রঙ্কোডাইলেটর ওষুধ শ্বাসনালীর পেশী শিথিল করে। এটি শ্বাস নিতে সাহায্য করে। এই ওষুধটি সাধারণত ইনহেলার বা নেবুলাইজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি দ্রুত কাজ করে এবং শ্বাসকষ্ট কমায়।

 

স্টেরয়েড

স্টেরয়েড ওষুধ প্রদাহ কমায়। এটি শ্বাসনালীকে প্রশস্ত রাখে। এই ওষুধটি সাধারণত ইনহেলার বা মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে সুবিধা দেয়।

 

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ প্রদাহ কমায়। এটি শ্বাসনালীকে সুরক্ষিত রাখে। এই ওষুধগুলি ইনহেলার বা মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট হিসেবে পাওয়া যায়।

 

অ্যাজমার ঝুঁকি কমানোর উপায়

 

অ্যাজমা একটি ক্রনিক শ্বাসকষ্ট সমস্যা। অ্যাজমার ঝুঁকি কমানোর উপায় জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নলিখিত কয়েকটি উপায় মেনে চলা গেলে অ্যাজমার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

 

ধূমপান বর্জন

ধূমপান অ্যাজমার অন্যতম প্রধান কারণ। ধূমপানের ধোঁয়া শ্বাসনালির প্রদাহ বাড়ায়। এটি শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে। ধূমপান বর্জন করলে অ্যাজমার ঝুঁকি কমে যায়।

 

পরিবেশগত দূষণ থেকে দূরে থাকা

পরিবেশগত দূষণ অ্যাজমার জন্য খুব ক্ষতিকর। ধুলা, ধোঁয়া, পোলেন ইত্যাদি অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়। দূষণ থেকে দূরে থাকতে হবে।

  • বাইরে বের হলে মাস্ক পরা উচিত।
  • ঘরের ভিতর বায়ু পরিশোধক ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ধুলাবালিমুক্ত পরিবেশে থাকা উচিত।

 

সঠিক চিকিৎসা নিয়ম মেনে চলা

অ্যাজমার সঠিক চিকিৎসা নিয়মিত মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে।

  1. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ খেতে হবে।
  2. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ পরিবর্তন করবেন না।
  3. নিজের চিকিৎসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

এই উপায়গুলি মেনে চললে অ্যাজমার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।

 

Frequently Asked Questions

 

অ্যাজমা হলে কীভাবে শ্বাসকষ্ট কমানো যায়?

অ্যাজমা হলে শ্বাসকষ্ট কমাতে ইনহেলার ব্যবহার করুন। ধুলোবালি থেকে দূরে থাকুন এবং ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

 

অ্যাজমার প্রধান লক্ষণগুলো কী কী?

অ্যাজমার প্রধান লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট, বুকের ব্যথা, কাশি এবং শ্বাসপ্রশ্বাসে বাঁশের মতো শব্দ।

 

অ্যাজমা হলে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত?

অ্যাজমা হলে দুধ, ডিম, বাদাম এবং সয়া জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। এই খাবারগুলো অ্যাজমা বাড়াতে পারে।

 

অ্যাজমার চিকিৎসায় কোন ওষুধগুলো কার্যকর?

অ্যাজমার চিকিৎসায় ব্রঙ্কোডিলেটর ইনহেলার এবং স্টেরয়েড ওষুধগুলো কার্যকর। ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ নিন।

 

Conclusion

অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা প্রয়োজন। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন। যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ জীবনযাপনে সচেতন থাকুন এবং অ্যাজমা মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ নিন।

 

Leave a Comment