সাধারণত কী কী খাবার খেলে অ্যালার্জি হতে পারে?

Spread the love

অ্যালার্জি সাধারণত দুধ, বাদাম, ডিম, মাছ, শামুক, সয়াবিন এবং গম খেলে হতে পারে। কিছু লোকের ক্ষেত্রে চিংড়ি এবং গরুর মাংসও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। অ্যালার্জি একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিশেষ করে খাবারের কারণে হতে পারে। আজকে আমরা সাধারণত কী কী খাবার খেলে অ্যালার্জি হতে পারে এই বিষয়ে জানবো । 

অনেকেই জানেন না কোন খাবার তাদের শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। দুধ, বাদাম, ডিম, এবং মাছ অ্যালার্জির প্রধান কারণ। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের উভয়ের মধ্যে এসব খাবার অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। সঠিকভাবে খাদ্য নির্বাচন করে এবং অ্যালার্জিজনিত খাবার এড়িয়ে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অ্যালার্জি প্রতিরোধের জন্য খাদ্য তালিকা সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব।

Contents hide

 

অ্যালার্জি কী?

 

অ্যালার্জি হলো শরীরের একটি প্রতিক্রিয়া যা নির্দিষ্ট খাবার বা পদার্থের সংস্পর্শে ঘটতে পারে। এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দ্বারা সৃষ্ট। বিভিন্ন খাবারের কারণে অ্যালার্জি হতে পারে।

 

অ্যালার্জির সংজ্ঞা

অ্যালার্জি হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমের একটি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এটি সাধারণত নির্দিষ্ট প্রোটিন বা কেমিক্যালের কারণে হয়। শরীর এই প্রোটিনকে ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করে এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

 

অ্যালার্জির লক্ষণ

 

অ্যালার্জির লক্ষণগুলি বিভিন্ন হতে পারে। কিছু সাধারণ লক্ষণ নিম্নরূপ:

  • ত্বকে লালচে দাগ বা র‍্যাশ
  • হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট
  • চোখে পানি পড়া বা চুলকানি
  • নাক দিয়ে পানি পড়া বা বন্ধ হওয়া
  • পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া

এই লক্ষণগুলি সাধারণত অ্যালার্জির উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে এই লক্ষণগুলি খারাপ হতে পারে।

 

দুগ্ধজাত খাবার

 

দুগ্ধজাত খাবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা প্রতিদিন দুধ, পনির, দই ইত্যাদি খাই। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এগুলো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এই অ্যালার্জি শরীরের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

 

দুগ্ধজাত অ্যালার্জি

দুগ্ধজাত অ্যালার্জি সাধারণত দুধ বা দুধের উপাদানের কারণে হয়। এই অ্যালার্জি শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। দুধের প্রোটিন শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

এর ফলে ত্বকে চুলকানি, ফোলাভাব, পেটব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি শ্বাসকষ্টও সৃষ্টি করতে পারে।

 

প্রতিরোধের উপায়

দুগ্ধজাত অ্যালার্জি প্রতিরোধের জন্য কিছু সহজ উপায় আছে। প্রথমত, দুধজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

দ্বিতীয়ত, প্যাকেটজাত খাবারের উপাদান তালিকা ভালোভাবে পড়া উচিত। এতে দুধের উপাদান থাকলে তা বুঝতে পারবেন।

এছাড়া, দুধের পরিবর্তে সয়া দুধ বা বাদামের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো দুধের ভালো বিকল্প।

খাবারবিকল্প
দুধসয়া দুধ, বাদামের দুধ
পনিরসয়া পনির
দইসয়া দই

 

নিয়মিতভাবে এসব বিকল্প ব্যবহার করে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

বাদাম এবং বীজ

 

বাদাম এবং বীজ আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে অনেকের জন্য এগুলো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। বাদাম এবং বীজ খেলে শরীরে নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নিচে আমরা বাদাম এবং বীজ অ্যালার্জি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

 

বাদাম অ্যালার্জি

বাদাম অ্যালার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। অনেকের শরীর বাদাম সহ্য করতে পারে না। নিচে কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:

  • ত্বকে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি
  • শ্বাসকষ্ট
  • পেটব্যথা এবং বমি
  • ফুলে যাওয়া

অনেক ধরণের বাদাম রয়েছে যেগুলো অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। নিচের টেবিলে কিছু সাধারণ বাদামের নাম উল্লেখ করা হলো:

বাদামের নামঅ্যালার্জি সম্ভাবনা
আখরোটউচ্চ
কাজুমধ্যম
আমন্ডমধ্যম
চিনাবাদামউচ্চ

 

বীজ অ্যালার্জি

 

বীজ অ্যালার্জি কম প্রচলিত হলেও বিপজ্জনক হতে পারে। নিম্নলিখিত বীজগুলি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে:

  • তিল বীজ
  • সূর্যমুখী বীজ
  • কুমড়ার বীজ
  • চিয়া বীজ

বীজ অ্যালার্জির লক্ষণগুলি সাধারণত একই রকম হয়। যেমন:

  1. ত্বকে লালচে ভাব
  2. গলা চুলকানি
  3. নাক দিয়ে পানি পড়া
  4. শ্বাসকষ্ট

বাদাম এবং বীজ অ্যালার্জির জন্য সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

ডিম

 

ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এর মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস রয়েছে। কিন্তু ডিম কিছু মানুষের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। ডিমের অ্যালার্জি সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এই অ্যালার্জি মূলত ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম থেকে হতে পারে।

 

ডিমের সাদা অংশ

ডিমের সাদা অংশে বিভিন্ন প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিনগুলোই অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

  • ওভালবুমিন: ডিমের সাদা অংশের প্রধান প্রোটিন। এটি অ্যালার্জির মূল কারণ।
  • ওভোমুকয়েড: অ্যালার্জির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। এটি রান্নার পরেও কার্যকর থাকে।
  • ওভোট্রান্সফারিন: ডিমের সাদা অংশে থাকা আরেকটি প্রোটিন। এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

ডিমের সাদা অংশের প্রোটিনগুলো তাপের সংস্পর্শে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু অনেক সময় রান্না করলেও অ্যালার্জি হতে পারে।

 

ডিমের কুসুম

ডিমের কুসুমে অ্যালার্জি তুলনামূলক কম দেখা যায়। তবে কিছু মানুষের জন্য এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

  • ভিটেলিন: ডিমের কুসুমে থাকা প্রধান প্রোটিন। এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

ডিমের কুসুমের প্রোটিন তাপের সংস্পর্শে কম পরিবর্তিত হয়। তাই রান্নার পরেও অ্যালার্জি হতে পারে।

ডিমের অ্যালার্জি হালকা থেকে মাঝারি হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন অংশে র‍্যাশ, খুসকি, চোখ চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

সামুদ্রিক খাবার

 

সামুদ্রিক খাবার অনেকের প্রিয় হলেও, এটি অনেকের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বেশিরভাগ অ্যালার্জির কারণ হতে পারে মাছ এবং শেলফিশ। এই খাবারগুলি খেলে অনেকেই তীব্র অ্যালার্জির সম্মুখীন হতে পারেন।

 

মাছ

মাছের মধ্যে অনেক ধরণের প্রোটিন থাকে যা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। মাছ খেলে অ্যালার্জির লক্ষণগুলি হতে পারে:

  • ত্বকে চুলকানি
  • শ্বাসকষ্ট
  • পেটের ব্যথা
  • মুখ ফুলে যাওয়া

বিশেষ করে, স্যামন, টুনা, এবং কোড মাছ অ্যালার্জির জন্য বেশি পরিচিত।

 

শেলফিশ

শেলফিশ অ্যালার্জি অনেকের জন্য খুবই সাধারণ। এটি তীব্র অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। শেলফিশের মধ্যে রয়েছে:

শেলফিশের ধরনউদাহরণ
ক্রাস্টেশিয়ানচিংড়ি, লবস্টার, কাঁকড়া
মলাস্কক্লাম, স্ক্যালপ, অয়েস্টার

শেলফিশ অ্যালার্জির লক্ষণগুলি হতে পারে:

  1. মুখের মধ্যে চুলকানি
  2. হাত-পায়ে ফোলা
  3. বমি বমি ভাব
  4. ডায়রিয়া

এই অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে শেলফিশ এড়িয়ে চলা উচিত।

গম এবং গ্লুটেন

 

গম এবং গ্লুটেন অনেকের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এই অ্যালার্জি অনেকের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে। নিচে গ্লুটেন অ্যালার্জি এবং গমের বিকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 

গ্লুটেন অ্যালার্জি

গ্লুটেন একধরনের প্রোটিন যা গম, বার্লি এবং রাই এ পাওয়া যায়। কিছু মানুষের শরীর গ্লুটেন সহ্য করতে পারে না। এতে তাদের শরীরে নানা ধরনের অ্যালার্জি দেখা দেয়।

  • পেটের সমস্যা
  • ত্বকের র‍্যাশ
  • মাথাব্যথা
  • অবসাদ

গ্লুটেন অ্যালার্জি থাকলে গম এবং গ্লুটেনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

 

গমের বিকল্প

গমের বিকল্প হিসেবে অনেক ধরনের খাবার রয়েছে। এগুলো গ্লুটেনমুক্ত এবং পুষ্টিকর। নিচে কিছু গমের বিকল্প দেওয়া হলো:

গমের বিকল্পপুষ্টিগুণ
বাজরাউচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন
কুইনোয়াপ্রোটিন এবং আয়রন সমৃদ্ধ
চালগ্লুটেনমুক্ত এবং সহজপাচ্য
চিকপি আটাউচ্চ প্রোটিন এবং ফাইবার

এই বিকল্পগুলো গমের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ।

 

সয়া এবং সয়া পণ্য

 

সয়া এবং সয়া পণ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই সাধারণ। অনেকেই সয়া এবং সয়া পণ্য থেকে অ্যালার্জি অনুভব করতে পারে। এই অংশে আমরা সয়া অ্যালার্জি এবং সয়া পণ্যের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।

 

সয়া অ্যালার্জি

সয়া অ্যালার্জি একটি সাধারণ সমস্যা। শিশুদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। সয়া অ্যালার্জি হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

  • ত্বকে র‍্যাশ হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
  • পেটের সমস্যা হতে পারে।
  • অন্য কোনো অ্যালার্জির মতো, এটি জীবনসংহারী হতে পারে।

 

সয়া পণ্যের প্রভাব

সয়া পণ্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এগুলো শরীরের উপর বিভিন্ন প্রভাব ফেলে।

সয়া পণ্যের নামপ্রভাব
সয়া দুধঅনেকের জন্য এটি হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
সয়া সসএটি উচ্চ রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
সয়া মিটঅনেকের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

সয়া এবং সয়া পণ্য খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত। অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

ফলমূল এবং সবজি

 

ফলমূল এবং সবজি আমাদের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তবে, কিছু ফল এবং সবজি অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। আসুন জেনে নেই ফলমূল এবং সবজির অ্যালার্জি সম্পর্কে।

 

ফলের অ্যালার্জি

অনেক লোক বিভিন্ন ফলের প্রতি অ্যালার্জি প্রদর্শন করে। নিচে কিছু সাধারণ ফলের নাম দেওয়া হলো যেগুলো অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে:

  • আপেল: কিছু লোক আপেলের প্রতি অ্যালার্জি প্রকাশ করে। উপসর্গগুলো হতে পারে মুখে চুলকানি এবং ফোলাভাব।
  • কিউই: কিউই ফল অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণ উপসর্গগুলো হলো ঠোঁট এবং গলায় চুলকানি।
  • পিচ: পিচ ফল খেলে অনেকের গলা ফুলে যেতে পারে।
  • স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরি অ্যালার্জি তুলনামূলকভাবে সাধারণ। এতে ত্বকে র‍্যাশ এবং চুলকানি হতে পারে।

 

সবজির অ্যালার্জি

কিছু সবজি অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ সবজির নাম দেওয়া হলো যেগুলো অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে:

  • টমেটো: অনেক লোক টমেটোর প্রতি সংবেদনশীল। উপসর্গগুলো হতে পারে ঠোঁট এবং মুখে ফোলাভাব।
  • ব্রোকলি: ব্রোকলি খেলে কিছু লোকের ত্বকে র‍্যাশ হতে পারে।
  • গাজর: গাজর খেলে গলা এবং মুখে চুলকানি হতে পারে।
  • আলু: কাঁচা আলু খেলে কিছু লোকের ত্বকে চুলকানি হতে পারে।

 

অ্যালার্জি পরীক্ষা এবং চিকিৎসা

 

অ্যালার্জি পরীক্ষা এবং চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অ্যালার্জি অনেক কারণে হতে পারে। কিছু খাবার অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালার্জি নির্ণয় এবং চিকিৎসা জানা প্রয়োজন।

 

অ্যালার্জি পরীক্ষা

অ্যালার্জি পরীক্ষা বিভিন্নভাবে করা হয়। স্কিন প্রিক টেস্ট একটি সাধারণ পদ্ধতি। এই পরীক্ষায় ছোট্ট সুই দিয়ে ত্বকে কিছু এলার্জেন প্রবেশ করানো হয়। এরপর ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা হয়।

রক্ত পরীক্ষা আরও একটি পদ্ধতি। এতে রক্তের মাধ্যমে অ্যালার্জেন শনাক্ত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ফুড চ্যালেঞ্জ টেস্ট করা হয়। এতে সন্দেহভাজন খাবার ধীরে ধীরে খাওয়ানো হয়।

 

চিকিৎসার পদ্ধতি

অ্যালার্জি চিকিৎসা বিভিন্নভাবে করা যায়। অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ সাধারণত ব্যবহৃত হয়। এটি অ্যালার্জির লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।

কিছু ক্ষেত্রে ইমিউনোথেরাপি করা হয়। এতে শরীরকে অ্যালার্জেনের প্রতি সহনশীল করা হয়। এপিনেফ্রিন ইনজেকশন জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়।

অ্যালার্জি চিকিৎসায় এলিমিনেশন ডায়েট অত্যন্ত কার্যকর। এতে সন্দেহভাজন খাবারগুলি বাদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষার ধরনবর্ণনা
স্কিন প্রিক টেস্টত্বকে অ্যালার্জেন প্রবেশ করানো হয়
রক্ত পরীক্ষারক্তের মাধ্যমে অ্যালার্জেন শনাক্ত করা হয়
ফুড চ্যালেঞ্জ টেস্টসন্দেহভাজন খাবার ধীরে ধীরে খাওয়ানো হয়

 

অ্যালার্জি চিকিৎসার জন্য সঠিক পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

 

Frequently Asked Questions

 

কোন খাবারে অ্যালার্জির ঝুঁকি বেশি?

অ্যালার্জির ঝুঁকি বেশি এমন কিছু খাবার হলো বাদাম, দুধ, ডিম, সয়াবিন, গম, মাছ এবং শেলফিশ।

 

শিশুদের অ্যালার্জি কোন খাবারে বেশি হয়?

শিশুদের মধ্যে ডিম, দুধ, এবং বাদামে অ্যালার্জির ঝুঁকি বেশি থাকে। এদের খাবার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।

 

গ্লুটেন অ্যালার্জি কোন খাবারে পাওয়া যায়?

গ্লুটেন অ্যালার্জি গম, বার্লি, এবং রাই জাতীয় খাবারে পাওয়া যায়। গ্লুটেনমুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

 

বাদামে অ্যালার্জি হলে কি করা উচিত?

বাদামে অ্যালার্জি থাকলে সব ধরনের বাদাম এবং বাদামজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

Conclusion

অ্যালার্জি প্রতিরোধের জন্য খাবার বাছাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন। অ্যালার্জির লক্ষণ দেখলে ডাক্তারকে পরামর্শ করুন। সচেতন থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।

 

Leave a Comment