ঋতুস্রাব কেন বন্ধ হয়ে যায় এটির কারণ কী কী?

Spread the love

ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হরমোনের পরিবর্তন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের সমস্যা। এটি বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কারণেও হতে পারে। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া নারীদের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। আজকে আমরা ঋতুস্রাব কেন বন্ধ হয়ে যায় এটির কারণ কী কী এই বিষয়ে জানবো। 

এটি মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে। প্রজনন স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), থাইরয়েডের সমস্যা, এবং অকাল রজ:নিবৃত্তি এর কারণ হতে পারে।

মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমও ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। সুস্থ জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এ সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সঠিক চিকিৎসা এবং পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

Contents hide

 

ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার কারণ

 

 

অনেক মহিলার জন্য ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে কখনো কখনো ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এই ব্লগে, আমরা ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার কারণগুলো বিশ্লেষণ করব।

 

প্রাকৃতিক কারণ

প্রাকৃতিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মেনোপজ। মেনোপজ সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সে ঘটে। এটি প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এছাড়া গর্ভধারণের সময়ও ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে। স্তন্যপান করানোর সময়ও অনেক মহিলার ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।

 

স্বাস্থ্যজনিত কারণ

স্বাস্থ্যজনিত কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) এর প্রভাব থাকতে পারে। এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। থাইরয়েড সমস্যা ঋতুস্রাব বন্ধ করতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এর কারণেও ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে।

কারণবর্ণনা
মেনোপজ৪৫-৫৫ বছর বয়সে ঘটে, প্রজনন ক্ষমতা কমায়
গর্ভধারণগর্ভবতী অবস্থায় ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে
স্তন্যপানদুগ্ধ উৎপাদনের সময় ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে
PCOSহরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে
থাইরয়েড সমস্যাথাইরয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্য
ডায়াবেটিসরক্তে শর্করার অনিয়ন্ত্রিত মাত্রা

 

মেনোপজ এবং ঋতুস্রাব

 

মেনোপজ এবং ঋতুস্রাব হলো নারীদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এই সময় ঋতুস্রাব স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি নারীদের জীবনে অনেক পরিবর্তন আনে।

 

মেনোপজের লক্ষণ

  • ঋতুস্রাবের অনিয়ম
  • গরম অনুভূতি বা হট ফ্ল্যাশ
  • ঘাম হওয়া
  • ঘুমের সমস্যা
  • মেজাজের পরিবর্তন

 

মেনোপজের সময়কাল

মেনোপজ সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে ঘটে। এটি শুরু হওয়ার আগে ঋতুস্রাবের সময়কাল অনিয়মিত হতে পারে। এই সময়টি পেরিমেনোপজ নামে পরিচিত। এই সময়কালে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

বয়সস্থায়ী পরিবর্তন
৪৫-৫৫মেনোপজ

মেনোপজের সময় নারীদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। মেনোপজের সময় তারা বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

 

হরমোনের ভূমিকা

 

হরমোনের ভূমিকা ঋতুস্রাব নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন এই প্রক্রিয়ার মূল হরমোন। এদের ভারসাম্য হারালে ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে।

 

ইস্ট্রোজেনের প্রভাব

ইস্ট্রোজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন যা নারীর যৌন এবং প্রজনন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এটি মাসিক চক্রের শুরুতে বেশি থাকে। ইস্ট্রোজেন জরায়ুর আস্তরণকে পুরু করে। এটি ডিম্বাণু উৎপাদনেও সাহায্য করে। ইস্ট্রোজেন কমে গেলে ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে।

 

প্রোজেস্টেরনের প্রভাব

প্রোজেস্টেরন জরায়ুর আস্তরণকে স্থিতিশীল রাখে। এটি ডিম্বাণু নিষিক্ত হলে জরায়ুর আস্তরণকে প্রস্তুত করে। প্রোজেস্টেরন কমে গেলে জরায়ুর আস্তরণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়। প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঋতুস্রাবের সমস্যার অন্যতম কারণ।

 

জীবনধারার প্রভাব

 

জীবনধারার প্রভাব ঋতুস্রাবের নিয়মিততায় বড় ভূমিকা পালন করে। জীবনধারা পরিবর্তন ঋতুস্রাবের বন্ধ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। ওজন, খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপ এই প্রভাবগুলির মধ্যে অন্যতম।

 

ওজন ও ঋতুস্রাব

 

ওজন কম বা বেশি হলে ঋতুস্রাবের সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি ওজন হওয়ার কারণে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে। আবার, অত্যধিক ওজন কম হওয়ার ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পাওয়ায় ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।

 

খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব

 

খাদ্যাভ্যাস ঋতুস্রাবের নিয়মিততায় বড় প্রভাব ফেলে। সুষম খাদ্য না খেলে শরীরের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এতে ঋতুস্রাবের নিয়মিততা বাধাগ্রস্ত হয়।

নিম্নলিখিত খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব রয়েছে:

  • প্রচুর ফাস্ট ফুড খেলে ঋতুস্রাবের সমস্যা হতে পারে।
  • অপর্যাপ্ত প্রোটিন খেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
  • যথেষ্ট সবজি ও ফল না খেলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

 

মানসিক চাপের প্রভাব

 

মানসিক চাপ ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার একটি বড় কারণ হতে পারে। চাপ শরীরের হরমোন ব্যালেন্সকে প্রভাবিত করে। এতে ঋতুস্রাবের নিয়মিত চক্র ব্যাহত হয়।

 

চাপ ও হরমোন

অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। কর্টিসল হরমোন প্রজনন হরমোনের সাথে সংঘর্ষ করে। এর ফলে ঋতুস্রাবের চক্রে বিঘ্ন ঘটে।

  • ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে যায়।
  • অভ্যন্তরীণ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
  • ডিম্বাশয় স্বাভাবিকভাবে ডিম্বাণু উৎপাদন বন্ধ করে।

 

উপশমের উপায়

মানসিক চাপ কমানোর জন্য কিছু সহজ উপায় রয়েছে। সেগুলো অনুসরণ করলে ঋতুস্রাবের সমস্যা কমে যেতে পারে।

  1. নিয়মিত যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন।
  2. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
  3. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
  4. ব্যায়াম করুন, তবে অতিরিক্ত না।
  5. বন্ধু ও পরিবারের সাথে সময় কাটান।

এসব উপায় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে ঋতুস্রাব নিয়মিত হতে পারে।

 

চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ

 

অনেক সময় ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়। বিভিন্ন ঔষধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি এর পিছনে দায়ী হতে পারে।

 

ঔষধের প্রভাব

কিছু ঔষধ ঋতুস্রাব বন্ধ করতে পারে। যেমন:

  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল: এটি হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন করে।
  • কেমোথেরাপি ঔষধ: ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত।
  • অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ঔষধ: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহৃত।

এই ঔষধগুলো শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে। ফলে ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে।

 

চিকিৎসা পদ্ধতির প্রভাব

কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি ঋতুস্রাব বন্ধ করতে পারে। যেমন:

  • রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • জরায়ু অপসারণ: জরায়ু সরিয়ে ফেললে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়।
  • ওভারিয়ান অপসারণ: ডিম্বাশয় সরিয়ে ফেললে হরমোনের পরিবর্তন হয়।

এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো শরীরের প্রজনন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে। ফলে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়।

 

প্রজনন সমস্যা ও ঋতুস্রাব

 

 

প্রজনন সমস্যা ও ঋতুস্রাব একে অপরের সাথে জড়িত। অনেক নারী ঋতুস্রাবের সমস্যার কারণে সন্তান ধারণে সমস্যায় পড়েন। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে প্রজনন সমস্যার অনেক কারণ রয়েছে।

 

অবাধ্য ডিম্বাশয়

অনেক সময় ডিম্বাশয় স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না। এই অবস্থাকে অবাধ্য ডিম্বাশয় বলা হয়। ডিম্বাশয় সঠিকভাবে ডিম্বাণু উৎপন্ন না করলে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়।

ডিম্বাশয়ের সমস্যা হতে পারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে। এছাড়াও, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে।

নিম্নলিখিত টেবিলে ডিম্বাশয়ের সমস্যার কিছু কারণ দেখানো হলো:

কারণপ্রভাব
হরমোনের ভারসাম্যহীনতাডিম্বাণুর উৎপাদন কমে যায়
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS)ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়

 

অন্ত:সত্ত্বা না হওয়ার কারণ

 

অনেক নারী প্রজনন সমস্যার কারণে অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন না। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া এর অন্যতম কারণ।

নিম্নলিখিত কারণগুলো অন্তঃসত্ত্বা না হওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে:

  • ডিম্বাশয়ের সমস্যা
  • হরমোনের সমস্যা
  • অস্ত্রোপচারজনিত সমস্যা

এই সমস্যাগুলোর কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় এবং সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।

 

ঋতুস্রাব বন্ধ হলে করণীয়

 

ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেক মহিলার জীবনে ঘটে। ঋতুস্রাব বন্ধ হলে করণীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। নিচে কয়েকটি করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ

ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে প্রথমে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

  • হরমোনাল ইমব্যালেন্স: চিকিৎসক হরমোনাল ইমব্যালেন্স পরীক্ষা করতে পারেন।
  • আল্ট্রাসাউন্ড: প্রয়োজন হলে আল্ট্রাসাউন্ড করা হতে পারে।
  • রক্ত পরীক্ষা: রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ধারণ করা হয়।

 

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করা ঋতুস্রাব নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে।

  • সঠিক খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করা যেতে পারে।
করণীয়বিবরণ
চিকিৎসকের পরামর্শচিকিৎসক হরমোনাল ইমব্যালেন্স এবং অন্যান্য কারণ নির্ধারণ করেন।
সঠিক খাদ্যাভ্যাসপুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত, যা ঋতুস্রাব নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ব্যায়ামপ্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

 

Frequently Asked Questions

 

ঋতুস্রাব কেন বন্ধ হয়ে যায়?

ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হলো মেনোপজ। এছাড়াও, হরমোন সমস্যা, ওজন কমানো বা মানসিক চাপের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হতে পারে।

 

ঋতুস্রাব বন্ধ হলে কী করণীয়?

ঋতুস্রাব বন্ধ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সমস্যার মূল কারণ নির্ধারণ করে চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। জীবনযাত্রা পরিবর্তনও সহায়ক হতে পারে।

 

ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার লক্ষণ কী কী?

ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাসিক অনিয়ম, হট ফ্ল্যাশ, এবং ঘুমের সমস্যা। এছাড়াও, মুড সুইং এবং যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে।

 

ঋতুস্রাব বন্ধ হলে কি গর্ভধারণ সম্ভব?

ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভধারণ সম্ভব নয়। মেনোপজের পরে ডিম্বাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তাই গর্ভধারণ অসম্ভব হয়।

 

Conclusion

ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এটি শারীরিক বা মানসিক কারণেও হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস পালনে সাহায্য করতে পারে। ঋতুস্রাব সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সম্পদ।

 

Leave a Comment